করোনা প্রতিরোধে কি কি খাবার ও ওষুধ খাবো? || What to eat and which medicine to take to prevent and cure against Corona Virus or COVID 19?
★★★★★ করোনা প্রতিরোধে কি কি খাবার ও ওষুধ খাবো?★★★★★
রাস্তায় বেরুলেই দেখতে পাচ্ছি বাহারি রঙের বাহারি ডিজাইনের মাস্কে ঢাকা,ঢাকা শহরের মানুষের মুখগুলি। তা পড়ুক আপত্তি নেই কিন্তু এই মাস্কেই যেনো থমকে না থাকে আমাদের করোনা প্রতিরোধী যাবতীয় চেষ্টা তদবির! বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া,হ্যান্ডশেক এড়িয়ে যাওয়া,হাচি কাশিতে রুমাল বা টিসু ব্যবহার এগুলোর চর্চাও কিছুটা শুরু হয়েছে দেশে।আশা ব্যঞ্জক বটে! কিন্তু করনীয় কি আর কিছুই নাই প্রিভেন্টিভ মেজার হিসেবে?? যে কথা কেউ বলছে না তা একটু বলার চেষ্টা করবো।পুস্তকের কথা যা পুস্তকপত্রেই চাপা পড়ে রইছে তা একটু খোলাশার চেষ্টা করবো। করণীয় আর কি হতে পারে তা বোঝার আগে বুঝতে হবে কেন তা করনীয় হবে করোনার ব্যাপারে! (যাদের হাতে সময় কম তারা শুধু নিচের তারকা ★★★ চিহ্নিত অংশ পড়তে পারেন।ওটাই আসল আলোচনা)
যখন একটি ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে সেটা যে পথ দিয়েই হোকনা কেন মুখগহ্বর,নাসিকারন্ধ্র থেকে শুরু করে পায়ুপথ, ঢোকার পরপরই ওর সারভাইভালের জন্য শরীরের কোষে প্রবেশ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে।কারন তার নিজের কোষ নেই তাই তার সারভাইভালের রসদের জন্য হোস্ট(মানুষ,পশু) কোষের বিপাকক্রিয়া হাইজ্যাকিং অপরিহার্য হয়ে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে কোষ নেই তাহলে ওর এসব দুষ্টুমি কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ হয় কিভাবে? তার জন্য DNA বা RNA পার্টিকেল প্রাকৃতিকভাবেই প্রাপ্ত থাকে। যদি সে শক্তিশালী ভাইরাস হয় তবে সে কুইকলি মানব কোষে ঢুকে পড়ে। মানব শরীরের immune system বা রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থার জন্য যেসকল কোষ নিয়োজিত তারা প্রাথমিক ভাবে দেখতে পারেনা বা বুঝতে পারেনা শত্রুর আক্রমণ ঘটেছে এবং সাবোটেজ করার জন্য কিছু সাধারণ খেটে খাওয়া কোষের ভিতর তারা আস্তানা গেড়ে ফেলে। এখন দিন এনে দিন খায় নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন খেটে খাওয়া মেহনতী কোষগুলোর কাছে প্রতিরোধের জন্য তেমন কিছুই থাকেনা শত্রু ভাইরাসের লুটপাট আর তান্ডব রোখার জন্য। তাদের সর্বস্ব লুটে নিলেও সত্যিই তাদের করার কিছু থাকেনা শুধু সুযোগ বুঝে ট্রিপল নাইনে কল করা ছাড়া।আর এই ট্রিপল নাইনে কল করার ক্যাপাবিলিটি কয়েকটিমাত্র এক্সেপশন ছাড়া প্রতিটি কোষঘরেই এভাইলেভল করা হয়েছে ঘরে ঘরে একটি ফোন সরবরাহের মাধ্যমে।আর সেই ভিডিও, অডিও কল ক্যাপাবল ফোনটির নাম - class I major histocompatibility complex proteins (or MHC class I) যার কাজ হলো কোষঘরের ভিতর থেকে কোষঘরের দেয়ালের বাইরে কিছু প্রোটিনের পুটলি পাঠিয়ে দেওয়া। যদি কোষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকে তাহলে প্রোটিনের সেই পুটলিতে ভাইরাসের প্রোটিনেরও কিছু অংশ মাখিয়ে দিয়ে দেয়। immune cell গুলোর আবার কিছু ক্যাটাগরাইজেশন আছে। সিম্পলি বললে- পুলিশ - Neutrophil, র্যাব-Macrophage আর্মি- Lymphocytes এই আর্মির ভিতর আবার ভাগ আছে T Lymphocyte,B lymphocyte( যাদের থেকে plasma cell,memory cell তৈরী হয়।এই plasma cell থেকে আবার Antibody নামক হরেক রকম বোমা তৈরী হয়) T Lymphocyte আর্মির মধ্যে প্যারা কমান্ডো একটা বাহিনী আছে যার নাম cytotoxic T lymphocyte যারা একেবারেই মায়াদয়াহীন। এরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগে পিছপা হয়না। এরা পুরো মানবদেহের স্বার্থে কোষঘরে মজুত শত্রুর অস্ত্রশস্ত্র ও ঘাটি সমূলে বিনষ্ট করতে আক্রান্ত কোষসমূহকে toxic mediators দিয়ে মেরে ফেলে অনায়াসে শুধু তাদের কনফার্ম ম্যাসেজটা দরকার এই যা! তাদের গায়ে T cell receptors (TCRs ) নামে প্রোটিনের তৈরী রিসিভার থাকে যা তাদের Antigen presenting cell এর সহায়তায় ভাইরাস আক্রান্ত কোষ চিনতে সাহায্য করে। প্রতিটা cytotoxic T cell এ এই TCRs থাকে সাধারণ কোষের MHC প্রোটিন পুঁটলিতে বাধা ভাইরাসের antigenic peptide কে রিকোগনাইজ করে এবং cytotoxic T cell কে ওয়ার্নিং ম্যাসেজ দেয়।ফলশ্রুতিতে এই প্যারা কমান্ডোরা cytotoxic factors রিলিজ করে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে এবং বহিরাগত শত্রুদের সারভাইভাল শেষ করে দেয়। কিছু ভাইরাস আছে যাদের সামরিক শক্তি এতটাই উন্নত ও প্রখর যে তারা এই T cell receptor এর ডিটেকশন ব্যবস্থাটাকে এড়িয়ে যেতে পারে।তারা আক্রান্ত কোষের সারফেসে MHC molecules নির্ভর T cell রিকোগ্নিশন কে অফ করে দেয়। তখন T cell কার্যত কিছুই করে না শুধু শত্রু খুঁজে বের করার তাগিদে ঘোরাফেরা ছাড়া। এই অবস্থাকে সামাল দেওয়ার জন্য মানব শরীরের সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো একটি বাহিনী নিয়োজিত রেখেছে যার নাম natural killer cell or NK cell এর অনেক কাজের মধ্যে একটি হলো সে যখন দেখবে কোন কোষ MHC molecules এর স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম শো করছে কোন কথা বার্তা ছাড়াই আপোষহীন ভাবে সে ওই কোষগুলোকে toxic mediators ছুড়ে ঝাঁঝরা করে মেরে ফেলবে। এখন এইযে সুসজ্জিত প্রতিরক্ষাবাহিনী তাদের কাছে কি কি অস্ত্র থাকে? অস্ত্রসমূহ: cytotoxic T cells তাদের শরীরে ঝোলার(granules) ভিতরে সেসকল অস্ত্র,গোলাবারুদ নিয়ে সুসজ্জিত থাকে তারা হলো- perforin (কাজ: আক্রান্ত কোষের দেয়ালে ছিদ্র তৈরি করা আর সেই ছিদ্র দিয়ে বাকি গোলাবারুদ কোষের ভিতরে পাঠিয়ে কোষ ধ্বংস করা) granzymes: এক ধরনের বিষাক্ত রস যা perforin এর করা ছিদ্র দিয়ে ভিতরে ঢুকে apoptosis নামের programmed cell death সিকুয়েন্সের ট্রিগার চেপে দেয়। এরকম আরো একশো একটি গোলাবারুদের ভিতর প্রধানতম হলো- granulysin,interferon-g,tumour necrosis factor-a ইত্যাদি আরো একটি রণকৌশল হলো- আক্রান্ত কোষ interferon নামের একটি প্রোটিন রিলিজ করে যার প্রধান কাজ হলো ভাইরাসের রেপ্লিকেশন(প্রজনন) কে বিঘ্নিত করা।তাছাড়াও পাড়া প্রতিবেশী কোষগুলোকে এটি আক্রান্ত হবার বার্তা পাঠায় তাতে তারা তাদের নিজস্ব MHC molecules গুলোকে তৎপর করে দেয় যাতে T lymphocyte আর্মিবাহিনীর রেগুলার রুটিন সার্ভের সময় আক্রান্ত জায়গাগুলি বিশেষ মনোযোগ পায়। ভাইরাস বা বহিরাগত আগুন্তক শত্রুরা কি শরীরে ঢোকা মাত্রই কোষে ঢুকে কোষকে আক্রান্ত করে ফেলতে পারে? না,তার আগেই তাদের ঠেকানোর জন্য রয়েছে আরো চমৎকার কিছু রণকৌশল। B Lymphocyte cell বিশেষ পদ্ধতিতে নানারকম Antibody নামের প্রোটিন বোমা বানায় যা বহিরাগত শত্রুদের গায়ে লেগে যেয়ে কয়েকটি উপায়ে তাদের ধ্বংসে সাহায্য করে- প্রথমত, দূর্বল শত্রুদের একেবারেই নিষ্ক্রিয় করে দেয়। দ্বিতীয়ত, অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী শত্রুদের জন্য অনেকগুলি antibody একত্রিত হয়ে গ্লুর মতো স্টিক করে ফেলে যাকে agglutination বলে এবং পরবর্তীতে ওই পিন্ডটি শরীরের বিভিন্ন immune cell(পুলিশ, র্যাব,আর্মি) এর জন্য সহজ টার্গেটে পরিণত হয়। তৃতীয়ত, Fc fragments receptor নির্ভর immune cell ( neutrophill & macrophage mostly) এর শত্রু ধরে সোজা গিলে ফেলার Phagocytosis নামে একটি কৌশলে সক্রিয় ভূমিকা থাকে Antibodyএর চতুর্থত,complement system নামের আরেকটি কৌশলে শত্রুদের গিলে ফেলার জন্য opsonise করে মোড়ক দিয়ে আবৃত করে দেয় কিছু antibody। তাছাড়াও পুরো যুদ্ধ পদ্ধতি পরিচালনা ও আন্তঃবাহিনী যোগাযোগের জন্য Cytokine সিক্রেশন ঘটায় কোষগুলি। এই cytokine যেমন ভালো তেমনি অতিরিক্তে খারাপ।করোনা ভাইরাসের যে রোগীগুলো মারা যাচ্ছে অধিকাংশই multiple organ failure এ। যার প্রধানতম কারন cytokine storming! ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এটার exposure ও নতুন অর্থাৎ মানবদেহ এর আগে এর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে আর অবতীর্ণ হয়নি বিধায় যুদ্ধকালীন যে memory cell তৈরী হয় তা এটার এগেইনেস্টে নাই! তাই পারফেক্টলি কার্যকরী কোন অস্ত্র প্রয়োগে এদের কাবু করতে না পেরে হতবিহবল immune cell গুলি cell signalling ও effective execution এর জন্য মুহুর্মুহু cytokine রিলিজ করতে থাকে। কিন্তু এটা ভাবার অবকাশ নাই যে আগে থেকেই যদি শরীরে immune cell/WBC বেশী থাকে তবে cytokine এর রিলিজ বেশী হবে।বরঞ্চ তখন পরিমিত মাত্রায় এর রিলিজের মাধ্যমে অধিক কার্যকারিতায় অবস্থা নিয়ন্ত্রনে নিতে পারবে। cytokine storming হচ্ছে মূলত weak immune system এর মানবদেহে WBC দের সংখ্যা বা কার্যকারিতা কম হওয়ার দরুন Viral Load এ হতবিহবল হয়ে পড়ার কারনে! উপরোক্ত আলোচনা কতটা সহজবোধ্যতা পেয়েছে তা জানিনা তবে এটুকু বোধ হয় সবাই বুঝে গেছেন lymphocyte নামের যে আর্মি আছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তাদের অপরিসীম ভূমিকার ব্যাপারটি। এবং স্পেসিফিকালি 'ভাইরাস' ক্যাটাগরির যেকোন শত্রুর জন্য lymphocyte ই প্রধানতম ভরসা তাও বুঝে ফেলার কথা। বিলিয়ন সংখ্যক কোষের ভিতর প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্য হয়ে ওঠে মাত্র ৪ হাজার থেকে ১১ হাজার তাও কোষ জন্মের প্রাক্কালেই! তার ভিতর ৪০-৭০% থাকে পুলিশ, ২০-৪০% থাকে আর্মি।মিনিমাম ৪ হাজার থাকবে যদি আপনার শরীর প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরীর প্রয়োজনীয় রসদ পায়! যদি সেই রসদের ঘাটতি ঘটে,আপনি খাবার দাবারের মাধ্যমে যদি সেই উপাদানসমূহের যোগান না দিতে পারেন শরীরকে তাহলে প্রয়োজন মাফিক প্রতিরক্ষাবাহিনী সে গঠন করতে পারবেনা।ভাবুন সে অবস্থায় যদি করোনার মতো অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত শত্রু আপনার শরীরকে এটাক করে তখন কি ঘটবে?অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই করার থাকবে না আপনার শরীরের! আর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগান আপনি নিশ্চিত করতে পারেন এই আর্মি সংখ্যার শতাংশ ৩০ বা ৩৫ বা ৪০ ও হয়ে যাবে তখন আপনার শরীর যেকোন শত্রু মোকাবেলায় হয়ে উঠবে এনাফ ক্যাপাবল। বলা হয়- Most viral illnesses do not need special medication and are self-limiting মানে অধিকাংশ ভাইরাল ডিজিজই আপনার শরীর সাড়িয়ে নিতে পারে (HIV এর মত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যেখানে আর্মি বাহিনীর সদস্য নিজেরাই আক্রান্ত হয়ে পড়ে) So in most of the viral infections your own immune system will kick in and fight off the illness. করোনার সূত্রপাত যে চীনে সেখানে মারা গেছে সাড়ে ৩ হাজারের মত আর আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছে ৮০ হাজারের মত। যে ভাইরাসের ভ্যাক্সিন নেই,সিম্পটোম্যাটিক ছাড়া স্পেসিফিক ট্রিটমেন্ট নেই তাতে আক্রান্ত ৮০ হাজার সেড়ে উঠলো কিভাবে? তারা এই সেল্ফ লিমিটিং এর গুনেই সুস্থ হয়ে গেছে। মোদ্দাকথা আপনার শরীরের আর্মি বাহিনী সংখ্যা ও কার্যকারিতায় বেশী তো আপনার করোনায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%।ইউ হ্যাভ টু বিলিভ ইন ইউর ভেরি অয়োন পটেনশিয়াল ইমুউন সিস্টেম অফ ইউর বডি। এখন কথা হলো এই আর্মির সংখ্যা আর কার্যকারিতা কি বাড়ানো সম্ভব? হ্যা সম্ভব। ★★★★★আর এখন তা নিয়েই আলোচনা করবো।আর আলোচনার এই অংশটাকে ওয়েল কনভিন্সড ও ওয়েল এক্সেপ্টেড করার জন্যই আগের এতগুলো কথা বলা! এই অংশটাকে ২ভাগে ভাগ করবো। ১.খাবার ২.ওষুধ ★★★১.খাবার - ক.লীন প্রোটিন : বেশী প্রোটিন কম চর্বিযুক্ত খাবার Lymphocyteসহ অন্যান্য WBC বাড়ায়। যেমন- মুরগী,মাছ,ডিমের সাদা অংশ,শিমের বিচি,ডাল ইত্যাদি। খ. ব্যাড ফ্যাট( স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট) পরিহার করুন স্যাচুরেটেড ফ্যাট- গরুর মাংস,খাসির মাংস,চামড়াসহ পোল্ট্রি মাংস,মাখন ইত্যাদি ট্রান্স ফ্যাট- ফাস্ট ফুড,পিজ্জা,কফি ক্রিমার,কুকিজ,কেক ইত্যাদি। এগুলা খাওয়া বন্ধ করেন। করোনা কেটে গেলে তারপর মাঝে মধ্যে মন করলে খেয়ে নিয়েন আপাতত নয়। ৩.বিটা কারোটিন ( Beta Carotene) সমৃদ্ধ খাবার খান: Beta Carotene শরীরের Nk Cell,Lymphocyte বাড়ায় যেমন- মিষ্টি আলু,মিষ্টি কুমড়া,পালং শাক,গাজর, ডালিম,বেদানা ইত্যাদি। ৪.ভিটামিন এ,সি,ডি,ই,জিংক,সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। এই উপাদানগুলি WBC,Natural Killer Cell ও Lymphocyte তৈরীর প্রধান নিয়ামক - বাদাম,কাঠবাদাম,আম,কুমড়ো,মরিচ, রসুন,গ্রিন টি ইত্যাদি। এই উপাদানগুলির দৈনিক শারীরিক চাহিদা অনু্যায়ী যদি আপনি খেতে না পারেন, যদি ঘাটতি রয়ে যায় আপনার শরীর পরিমিত পরিমাণ WBC (neutrophil,macrophage,eosinophil basophil,lymphocyte etc.) তৈরীই করতে পারবে না।ভাবুন অনুরুপ অবস্থায় আপনার শরীর করোনা দিয়ে আক্রান্ত হলে কি অসহায় আত্মসমর্পণই না করতে হবে শরীরকে তার সামনে। ডেইলি রিকোয়ারমেন্ট অনু্যায়ী মেপে ঝুকে শরীরকে এগুলো উপাদানের জোগান খাবারের মাধ্যমে দেওয়া খুবই জটিল কাজ। সহজ কাজ হচ্ছে এই উপাদানগুলির চাহিদার অনুপাত নিরুপন করে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির বানানো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ খাওয়া তা একদিকে যেমন দামে সাশ্রয়ী হবে তেমন এত শত ফল ফ্রুট জোগারের ঝামেলা কমে যাবে। ★★★★★২.ওষুধ: সবচেয়ে সহজলভ্য,সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, ১.Tab.Vitamin A+C+E+K & Minerals ( Copper+ Zinc+Manganese +Selenium) বাজারে যে নামে পাবেন- Tab.Aristovit X / Tab.Santox/ Tab.Evagren/ Tab.Vitace M/ Tab.Nutrum Super/ Tab.Bec Plus/ Tab.Norad Plus/ Tab.Tanox Plus/ Tab.Aces Plus দাম ৪টাকা প্রতি পিস। যেকোন একটি কিনে আনুন ঘরে। প্রতিদিন ১টি করে খান আগামী ১-২ মাস। ২.Tab.Betacarotene+Vitamin C + Vitamin E বাজারে যে নামে পাবেন- Tab.Rex/ Tab.Carocet/Tab.Proxid/ Tab.Anoxiv/Tab.Ceto/ Tab.Energin/ Tab.Donor/Tab.Oxid/Tab.Betanic/Tab.Vitace-M দাম ২.৫ টাকা প্রতি পিস । যেকোন একটি কিনে আনুন ঘরে। প্রতিদিন ১টি করে খান আগামী ১-২ মাস। ৩.Cap.Omega-3 fatty acid বাজারে যে নামে পাবেন- Cap.OMG-3/Tab.Omesoft/Tab.Maxomega এটার দাম একটু বেশী পিস ১০টাকা করে। দৈনিক না খেতে পারলেও সপ্তাহে ২ টা খান। আরেকটি immuno booster বাজারে আছে যা বাংলাদেশে শুধু একটি company(Novartis) এরই পাওয়া যায়- ৪.Impact (Powder for suspension) ১ প্যাকেট ২৫০ মিলি ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে শরবতের মত খেয়ে ফেলুন- প্রতি সপ্তাহে ১ দিন। প্রতি প্যাকেট ২০-২৫ টাকা। আসুন খাই না একটু কষ্ট করে এ কয়টা ওষুধ দু একটা মাস। সারাজীবন অমক তমকের কথা মতো যারা এন্টিবায়োটিক, এনালজেসিক মুড়ি মুড়কীর মতো খেয়ে আসছে তাদেরও উৎসাহিত করি অমক তমক বলে নাই বিধায় নিরীহ একয়টা ওষুধ খেতে যেনো আপত্তি না করে।লস নাই কোন,লাভ আছে। একটু কষ্ট করে পানি দিয়ে গিলে ফেলি ওষুধ কয়টা,গিলতে কষ্ট হলে গুঁড়ো করি গুঁড়োগুলো মুড়ির উপর ছিটিয়ে দিয়ে খেয়ে ফেলি। প্রিয় বাঙালী ভাই ও বোনেরা সিভিট কে যেমন আমরা উপাদেয় নিরীহ ওষুধ হিসেবে খেতে অভ্যস্ত হয়েছি ঠিক তেমনি এ কয়টা ওষুধ গ্রহনে আমরা উৎসাহী হই ও অন্যকে উৎসাহিত করি প্লিজ.... আপনার শরীরকে Immunity Build Up এ সহায়তা করুন,করোনা কেন যেকোন মহামারীতেই সেই আপনাকে টিকিয়ে রাখবে। গ্লাভস,মাস্ক,গাউন ভেদ করে,কোয়ারাইন্টাইন উপেক্ষা করে যদি ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া আপনাকে আক্রান্ত করেই ফেলে আপনার শরীরই আপনাকে বাঁচিয়ে দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালাবে,সেই আপনার দ্যা লাস্ট ওয়ারিওর ফর সারভাইভাল!
রাস্তায় বেরুলেই দেখতে পাচ্ছি বাহারি রঙের বাহারি ডিজাইনের মাস্কে ঢাকা,ঢাকা শহরের মানুষের মুখগুলি। তা পড়ুক আপত্তি নেই কিন্তু এই মাস্কেই যেনো থমকে না থাকে আমাদের করোনা প্রতিরোধী যাবতীয় চেষ্টা তদবির! বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া,হ্যান্ডশেক এড়িয়ে যাওয়া,হাচি কাশিতে রুমাল বা টিসু ব্যবহার এগুলোর চর্চাও কিছুটা শুরু হয়েছে দেশে।আশা ব্যঞ্জক বটে! কিন্তু করনীয় কি আর কিছুই নাই প্রিভেন্টিভ মেজার হিসেবে?? যে কথা কেউ বলছে না তা একটু বলার চেষ্টা করবো।পুস্তকের কথা যা পুস্তকপত্রেই চাপা পড়ে রইছে তা একটু খোলাশার চেষ্টা করবো। করণীয় আর কি হতে পারে তা বোঝার আগে বুঝতে হবে কেন তা করনীয় হবে করোনার ব্যাপারে! (যাদের হাতে সময় কম তারা শুধু নিচের তারকা ★★★ চিহ্নিত অংশ পড়তে পারেন।ওটাই আসল আলোচনা)
যখন একটি ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে সেটা যে পথ দিয়েই হোকনা কেন মুখগহ্বর,নাসিকারন্ধ্র থেকে শুরু করে পায়ুপথ, ঢোকার পরপরই ওর সারভাইভালের জন্য শরীরের কোষে প্রবেশ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে।কারন তার নিজের কোষ নেই তাই তার সারভাইভালের রসদের জন্য হোস্ট(মানুষ,পশু) কোষের বিপাকক্রিয়া হাইজ্যাকিং অপরিহার্য হয়ে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে কোষ নেই তাহলে ওর এসব দুষ্টুমি কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ হয় কিভাবে? তার জন্য DNA বা RNA পার্টিকেল প্রাকৃতিকভাবেই প্রাপ্ত থাকে। যদি সে শক্তিশালী ভাইরাস হয় তবে সে কুইকলি মানব কোষে ঢুকে পড়ে। মানব শরীরের immune system বা রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থার জন্য যেসকল কোষ নিয়োজিত তারা প্রাথমিক ভাবে দেখতে পারেনা বা বুঝতে পারেনা শত্রুর আক্রমণ ঘটেছে এবং সাবোটেজ করার জন্য কিছু সাধারণ খেটে খাওয়া কোষের ভিতর তারা আস্তানা গেড়ে ফেলে। এখন দিন এনে দিন খায় নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন খেটে খাওয়া মেহনতী কোষগুলোর কাছে প্রতিরোধের জন্য তেমন কিছুই থাকেনা শত্রু ভাইরাসের লুটপাট আর তান্ডব রোখার জন্য। তাদের সর্বস্ব লুটে নিলেও সত্যিই তাদের করার কিছু থাকেনা শুধু সুযোগ বুঝে ট্রিপল নাইনে কল করা ছাড়া।আর এই ট্রিপল নাইনে কল করার ক্যাপাবিলিটি কয়েকটিমাত্র এক্সেপশন ছাড়া প্রতিটি কোষঘরেই এভাইলেভল করা হয়েছে ঘরে ঘরে একটি ফোন সরবরাহের মাধ্যমে।আর সেই ভিডিও, অডিও কল ক্যাপাবল ফোনটির নাম - class I major histocompatibility complex proteins (or MHC class I) যার কাজ হলো কোষঘরের ভিতর থেকে কোষঘরের দেয়ালের বাইরে কিছু প্রোটিনের পুটলি পাঠিয়ে দেওয়া। যদি কোষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকে তাহলে প্রোটিনের সেই পুটলিতে ভাইরাসের প্রোটিনেরও কিছু অংশ মাখিয়ে দিয়ে দেয়। immune cell গুলোর আবার কিছু ক্যাটাগরাইজেশন আছে। সিম্পলি বললে- পুলিশ - Neutrophil, র্যাব-Macrophage আর্মি- Lymphocytes এই আর্মির ভিতর আবার ভাগ আছে T Lymphocyte,B lymphocyte( যাদের থেকে plasma cell,memory cell তৈরী হয়।এই plasma cell থেকে আবার Antibody নামক হরেক রকম বোমা তৈরী হয়) T Lymphocyte আর্মির মধ্যে প্যারা কমান্ডো একটা বাহিনী আছে যার নাম cytotoxic T lymphocyte যারা একেবারেই মায়াদয়াহীন। এরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগে পিছপা হয়না। এরা পুরো মানবদেহের স্বার্থে কোষঘরে মজুত শত্রুর অস্ত্রশস্ত্র ও ঘাটি সমূলে বিনষ্ট করতে আক্রান্ত কোষসমূহকে toxic mediators দিয়ে মেরে ফেলে অনায়াসে শুধু তাদের কনফার্ম ম্যাসেজটা দরকার এই যা! তাদের গায়ে T cell receptors (TCRs ) নামে প্রোটিনের তৈরী রিসিভার থাকে যা তাদের Antigen presenting cell এর সহায়তায় ভাইরাস আক্রান্ত কোষ চিনতে সাহায্য করে। প্রতিটা cytotoxic T cell এ এই TCRs থাকে সাধারণ কোষের MHC প্রোটিন পুঁটলিতে বাধা ভাইরাসের antigenic peptide কে রিকোগনাইজ করে এবং cytotoxic T cell কে ওয়ার্নিং ম্যাসেজ দেয়।ফলশ্রুতিতে এই প্যারা কমান্ডোরা cytotoxic factors রিলিজ করে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে এবং বহিরাগত শত্রুদের সারভাইভাল শেষ করে দেয়। কিছু ভাইরাস আছে যাদের সামরিক শক্তি এতটাই উন্নত ও প্রখর যে তারা এই T cell receptor এর ডিটেকশন ব্যবস্থাটাকে এড়িয়ে যেতে পারে।তারা আক্রান্ত কোষের সারফেসে MHC molecules নির্ভর T cell রিকোগ্নিশন কে অফ করে দেয়। তখন T cell কার্যত কিছুই করে না শুধু শত্রু খুঁজে বের করার তাগিদে ঘোরাফেরা ছাড়া। এই অবস্থাকে সামাল দেওয়ার জন্য মানব শরীরের সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো একটি বাহিনী নিয়োজিত রেখেছে যার নাম natural killer cell or NK cell এর অনেক কাজের মধ্যে একটি হলো সে যখন দেখবে কোন কোষ MHC molecules এর স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম শো করছে কোন কথা বার্তা ছাড়াই আপোষহীন ভাবে সে ওই কোষগুলোকে toxic mediators ছুড়ে ঝাঁঝরা করে মেরে ফেলবে। এখন এইযে সুসজ্জিত প্রতিরক্ষাবাহিনী তাদের কাছে কি কি অস্ত্র থাকে? অস্ত্রসমূহ: cytotoxic T cells তাদের শরীরে ঝোলার(granules) ভিতরে সেসকল অস্ত্র,গোলাবারুদ নিয়ে সুসজ্জিত থাকে তারা হলো- perforin (কাজ: আক্রান্ত কোষের দেয়ালে ছিদ্র তৈরি করা আর সেই ছিদ্র দিয়ে বাকি গোলাবারুদ কোষের ভিতরে পাঠিয়ে কোষ ধ্বংস করা) granzymes: এক ধরনের বিষাক্ত রস যা perforin এর করা ছিদ্র দিয়ে ভিতরে ঢুকে apoptosis নামের programmed cell death সিকুয়েন্সের ট্রিগার চেপে দেয়। এরকম আরো একশো একটি গোলাবারুদের ভিতর প্রধানতম হলো- granulysin,interferon-g,tumour necrosis factor-a ইত্যাদি আরো একটি রণকৌশল হলো- আক্রান্ত কোষ interferon নামের একটি প্রোটিন রিলিজ করে যার প্রধান কাজ হলো ভাইরাসের রেপ্লিকেশন(প্রজনন) কে বিঘ্নিত করা।তাছাড়াও পাড়া প্রতিবেশী কোষগুলোকে এটি আক্রান্ত হবার বার্তা পাঠায় তাতে তারা তাদের নিজস্ব MHC molecules গুলোকে তৎপর করে দেয় যাতে T lymphocyte আর্মিবাহিনীর রেগুলার রুটিন সার্ভের সময় আক্রান্ত জায়গাগুলি বিশেষ মনোযোগ পায়। ভাইরাস বা বহিরাগত আগুন্তক শত্রুরা কি শরীরে ঢোকা মাত্রই কোষে ঢুকে কোষকে আক্রান্ত করে ফেলতে পারে? না,তার আগেই তাদের ঠেকানোর জন্য রয়েছে আরো চমৎকার কিছু রণকৌশল। B Lymphocyte cell বিশেষ পদ্ধতিতে নানারকম Antibody নামের প্রোটিন বোমা বানায় যা বহিরাগত শত্রুদের গায়ে লেগে যেয়ে কয়েকটি উপায়ে তাদের ধ্বংসে সাহায্য করে- প্রথমত, দূর্বল শত্রুদের একেবারেই নিষ্ক্রিয় করে দেয়। দ্বিতীয়ত, অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী শত্রুদের জন্য অনেকগুলি antibody একত্রিত হয়ে গ্লুর মতো স্টিক করে ফেলে যাকে agglutination বলে এবং পরবর্তীতে ওই পিন্ডটি শরীরের বিভিন্ন immune cell(পুলিশ, র্যাব,আর্মি) এর জন্য সহজ টার্গেটে পরিণত হয়। তৃতীয়ত, Fc fragments receptor নির্ভর immune cell ( neutrophill & macrophage mostly) এর শত্রু ধরে সোজা গিলে ফেলার Phagocytosis নামে একটি কৌশলে সক্রিয় ভূমিকা থাকে Antibodyএর চতুর্থত,complement system নামের আরেকটি কৌশলে শত্রুদের গিলে ফেলার জন্য opsonise করে মোড়ক দিয়ে আবৃত করে দেয় কিছু antibody। তাছাড়াও পুরো যুদ্ধ পদ্ধতি পরিচালনা ও আন্তঃবাহিনী যোগাযোগের জন্য Cytokine সিক্রেশন ঘটায় কোষগুলি। এই cytokine যেমন ভালো তেমনি অতিরিক্তে খারাপ।করোনা ভাইরাসের যে রোগীগুলো মারা যাচ্ছে অধিকাংশই multiple organ failure এ। যার প্রধানতম কারন cytokine storming! ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এটার exposure ও নতুন অর্থাৎ মানবদেহ এর আগে এর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে আর অবতীর্ণ হয়নি বিধায় যুদ্ধকালীন যে memory cell তৈরী হয় তা এটার এগেইনেস্টে নাই! তাই পারফেক্টলি কার্যকরী কোন অস্ত্র প্রয়োগে এদের কাবু করতে না পেরে হতবিহবল immune cell গুলি cell signalling ও effective execution এর জন্য মুহুর্মুহু cytokine রিলিজ করতে থাকে। কিন্তু এটা ভাবার অবকাশ নাই যে আগে থেকেই যদি শরীরে immune cell/WBC বেশী থাকে তবে cytokine এর রিলিজ বেশী হবে।বরঞ্চ তখন পরিমিত মাত্রায় এর রিলিজের মাধ্যমে অধিক কার্যকারিতায় অবস্থা নিয়ন্ত্রনে নিতে পারবে। cytokine storming হচ্ছে মূলত weak immune system এর মানবদেহে WBC দের সংখ্যা বা কার্যকারিতা কম হওয়ার দরুন Viral Load এ হতবিহবল হয়ে পড়ার কারনে! উপরোক্ত আলোচনা কতটা সহজবোধ্যতা পেয়েছে তা জানিনা তবে এটুকু বোধ হয় সবাই বুঝে গেছেন lymphocyte নামের যে আর্মি আছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তাদের অপরিসীম ভূমিকার ব্যাপারটি। এবং স্পেসিফিকালি 'ভাইরাস' ক্যাটাগরির যেকোন শত্রুর জন্য lymphocyte ই প্রধানতম ভরসা তাও বুঝে ফেলার কথা। বিলিয়ন সংখ্যক কোষের ভিতর প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্য হয়ে ওঠে মাত্র ৪ হাজার থেকে ১১ হাজার তাও কোষ জন্মের প্রাক্কালেই! তার ভিতর ৪০-৭০% থাকে পুলিশ, ২০-৪০% থাকে আর্মি।মিনিমাম ৪ হাজার থাকবে যদি আপনার শরীর প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরীর প্রয়োজনীয় রসদ পায়! যদি সেই রসদের ঘাটতি ঘটে,আপনি খাবার দাবারের মাধ্যমে যদি সেই উপাদানসমূহের যোগান না দিতে পারেন শরীরকে তাহলে প্রয়োজন মাফিক প্রতিরক্ষাবাহিনী সে গঠন করতে পারবেনা।ভাবুন সে অবস্থায় যদি করোনার মতো অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত শত্রু আপনার শরীরকে এটাক করে তখন কি ঘটবে?অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই করার থাকবে না আপনার শরীরের! আর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগান আপনি নিশ্চিত করতে পারেন এই আর্মি সংখ্যার শতাংশ ৩০ বা ৩৫ বা ৪০ ও হয়ে যাবে তখন আপনার শরীর যেকোন শত্রু মোকাবেলায় হয়ে উঠবে এনাফ ক্যাপাবল। বলা হয়- Most viral illnesses do not need special medication and are self-limiting মানে অধিকাংশ ভাইরাল ডিজিজই আপনার শরীর সাড়িয়ে নিতে পারে (HIV এর মত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যেখানে আর্মি বাহিনীর সদস্য নিজেরাই আক্রান্ত হয়ে পড়ে) So in most of the viral infections your own immune system will kick in and fight off the illness. করোনার সূত্রপাত যে চীনে সেখানে মারা গেছে সাড়ে ৩ হাজারের মত আর আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছে ৮০ হাজারের মত। যে ভাইরাসের ভ্যাক্সিন নেই,সিম্পটোম্যাটিক ছাড়া স্পেসিফিক ট্রিটমেন্ট নেই তাতে আক্রান্ত ৮০ হাজার সেড়ে উঠলো কিভাবে? তারা এই সেল্ফ লিমিটিং এর গুনেই সুস্থ হয়ে গেছে। মোদ্দাকথা আপনার শরীরের আর্মি বাহিনী সংখ্যা ও কার্যকারিতায় বেশী তো আপনার করোনায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%।ইউ হ্যাভ টু বিলিভ ইন ইউর ভেরি অয়োন পটেনশিয়াল ইমুউন সিস্টেম অফ ইউর বডি। এখন কথা হলো এই আর্মির সংখ্যা আর কার্যকারিতা কি বাড়ানো সম্ভব? হ্যা সম্ভব। ★★★★★আর এখন তা নিয়েই আলোচনা করবো।আর আলোচনার এই অংশটাকে ওয়েল কনভিন্সড ও ওয়েল এক্সেপ্টেড করার জন্যই আগের এতগুলো কথা বলা! এই অংশটাকে ২ভাগে ভাগ করবো। ১.খাবার ২.ওষুধ ★★★১.খাবার - ক.লীন প্রোটিন : বেশী প্রোটিন কম চর্বিযুক্ত খাবার Lymphocyteসহ অন্যান্য WBC বাড়ায়। যেমন- মুরগী,মাছ,ডিমের সাদা অংশ,শিমের বিচি,ডাল ইত্যাদি। খ. ব্যাড ফ্যাট( স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট) পরিহার করুন স্যাচুরেটেড ফ্যাট- গরুর মাংস,খাসির মাংস,চামড়াসহ পোল্ট্রি মাংস,মাখন ইত্যাদি ট্রান্স ফ্যাট- ফাস্ট ফুড,পিজ্জা,কফি ক্রিমার,কুকিজ,কেক ইত্যাদি। এগুলা খাওয়া বন্ধ করেন। করোনা কেটে গেলে তারপর মাঝে মধ্যে মন করলে খেয়ে নিয়েন আপাতত নয়। ৩.বিটা কারোটিন ( Beta Carotene) সমৃদ্ধ খাবার খান: Beta Carotene শরীরের Nk Cell,Lymphocyte বাড়ায় যেমন- মিষ্টি আলু,মিষ্টি কুমড়া,পালং শাক,গাজর, ডালিম,বেদানা ইত্যাদি। ৪.ভিটামিন এ,সি,ডি,ই,জিংক,সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। এই উপাদানগুলি WBC,Natural Killer Cell ও Lymphocyte তৈরীর প্রধান নিয়ামক - বাদাম,কাঠবাদাম,আম,কুমড়ো,মরিচ, রসুন,গ্রিন টি ইত্যাদি। এই উপাদানগুলির দৈনিক শারীরিক চাহিদা অনু্যায়ী যদি আপনি খেতে না পারেন, যদি ঘাটতি রয়ে যায় আপনার শরীর পরিমিত পরিমাণ WBC (neutrophil,macrophage,eosinophil basophil,lymphocyte etc.) তৈরীই করতে পারবে না।ভাবুন অনুরুপ অবস্থায় আপনার শরীর করোনা দিয়ে আক্রান্ত হলে কি অসহায় আত্মসমর্পণই না করতে হবে শরীরকে তার সামনে। ডেইলি রিকোয়ারমেন্ট অনু্যায়ী মেপে ঝুকে শরীরকে এগুলো উপাদানের জোগান খাবারের মাধ্যমে দেওয়া খুবই জটিল কাজ। সহজ কাজ হচ্ছে এই উপাদানগুলির চাহিদার অনুপাত নিরুপন করে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির বানানো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ খাওয়া তা একদিকে যেমন দামে সাশ্রয়ী হবে তেমন এত শত ফল ফ্রুট জোগারের ঝামেলা কমে যাবে। ★★★★★২.ওষুধ: সবচেয়ে সহজলভ্য,সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, ১.Tab.Vitamin A+C+E+K & Minerals ( Copper+ Zinc+Manganese +Selenium) বাজারে যে নামে পাবেন- Tab.Aristovit X / Tab.Santox/ Tab.Evagren/ Tab.Vitace M/ Tab.Nutrum Super/ Tab.Bec Plus/ Tab.Norad Plus/ Tab.Tanox Plus/ Tab.Aces Plus দাম ৪টাকা প্রতি পিস। যেকোন একটি কিনে আনুন ঘরে। প্রতিদিন ১টি করে খান আগামী ১-২ মাস। ২.Tab.Betacarotene+Vitamin C + Vitamin E বাজারে যে নামে পাবেন- Tab.Rex/ Tab.Carocet/Tab.Proxid/ Tab.Anoxiv/Tab.Ceto/ Tab.Energin/ Tab.Donor/Tab.Oxid/Tab.Betanic/Tab.Vitace-M দাম ২.৫ টাকা প্রতি পিস । যেকোন একটি কিনে আনুন ঘরে। প্রতিদিন ১টি করে খান আগামী ১-২ মাস। ৩.Cap.Omega-3 fatty acid বাজারে যে নামে পাবেন- Cap.OMG-3/Tab.Omesoft/Tab.Maxomega এটার দাম একটু বেশী পিস ১০টাকা করে। দৈনিক না খেতে পারলেও সপ্তাহে ২ টা খান। আরেকটি immuno booster বাজারে আছে যা বাংলাদেশে শুধু একটি company(Novartis) এরই পাওয়া যায়- ৪.Impact (Powder for suspension) ১ প্যাকেট ২৫০ মিলি ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে শরবতের মত খেয়ে ফেলুন- প্রতি সপ্তাহে ১ দিন। প্রতি প্যাকেট ২০-২৫ টাকা। আসুন খাই না একটু কষ্ট করে এ কয়টা ওষুধ দু একটা মাস। সারাজীবন অমক তমকের কথা মতো যারা এন্টিবায়োটিক, এনালজেসিক মুড়ি মুড়কীর মতো খেয়ে আসছে তাদেরও উৎসাহিত করি অমক তমক বলে নাই বিধায় নিরীহ একয়টা ওষুধ খেতে যেনো আপত্তি না করে।লস নাই কোন,লাভ আছে। একটু কষ্ট করে পানি দিয়ে গিলে ফেলি ওষুধ কয়টা,গিলতে কষ্ট হলে গুঁড়ো করি গুঁড়োগুলো মুড়ির উপর ছিটিয়ে দিয়ে খেয়ে ফেলি। প্রিয় বাঙালী ভাই ও বোনেরা সিভিট কে যেমন আমরা উপাদেয় নিরীহ ওষুধ হিসেবে খেতে অভ্যস্ত হয়েছি ঠিক তেমনি এ কয়টা ওষুধ গ্রহনে আমরা উৎসাহী হই ও অন্যকে উৎসাহিত করি প্লিজ.... আপনার শরীরকে Immunity Build Up এ সহায়তা করুন,করোনা কেন যেকোন মহামারীতেই সেই আপনাকে টিকিয়ে রাখবে। গ্লাভস,মাস্ক,গাউন ভেদ করে,কোয়ারাইন্টাইন উপেক্ষা করে যদি ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া আপনাকে আক্রান্ত করেই ফেলে আপনার শরীরই আপনাকে বাঁচিয়ে দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালাবে,সেই আপনার দ্যা লাস্ট ওয়ারিওর ফর সারভাইভাল!
Comments
Post a Comment